অনলাইন ডেস্ক – বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চলছে, এ বিষয়ে ৮ মাস আগেই নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। কেননা বিএনপির বিরুদ্ধে একটা অদৃশ্য প্রতিপক্ষ ধীরে ধীরে দৃশ্যমানের দিকে যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে আরও কিছু প্রতিপক্ষ যোগ দিচ্ছে। সেটা মোকাবিলা করার সক্ষমতা রয়েছে বিএনপির। তাই আমাদের সব কিছুই সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও মোকাবেলা করতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি হল রুমে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তকরণ’ বিষয়ক কর্মশালার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, গত ১৭ বছরে বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নাই, যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়নি, জুলুম হয়নি। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা গুম-খুনের ভয়ে আতঙ্কে বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। ঘুম-খুনের শিকার অনেক সহকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। আমাদের কিন্তু সেই স্বৈরাচারের জুলুমের ক্ষত বুকে রয়েছে, প্রতিশোধ বা জুলুম করে জবাব দিতে চাই না। আমরা বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এর প্রতিশোধ নিতে চাই। যার ফলে দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকবে। কেননা বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে মানুষের উন্নয়নে ও দেশের উন্নয়নে কাজ করবে।
তিনি বলেন, আমাদের অতীত উন্নয়ন মানুষের মঙ্গলের। বিএনপির সেই সক্ষমতা রয়েছে। তাই বিএনপি মনে করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন। মানুষ যেন দুবেলা দুমুঠো মাছ-ভাত খেয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন। আমাদের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা যেন কর্মময় সুন্দর জীবন-যাপন করতে পারেন। সেভাবেই আমরা যেন কর্মসংস্থান করতে পারি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছানোই হবে আমাদের লক্ষ্য। নারীদের ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে অনুকরণীয় হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির আমলে নারীদের আসন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই ধারায় নারীদের আসন ৫০ থেকে ১০০ আসন উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন- আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে নানা বিতর্ক উল্লেখ তিনি বলেন, উত্তরের তিন কোটি মানুষের জীবন জীবিকা ও প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য তিস্তার সঙ্গে জড়িত। বিগত সময়ে এটিকে নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। নানা কল্পকাহিনী শোনানো হয়েছে; কিন্তু কোনো বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যার ফলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের পরিবর্তন হয়নি। তিস্তা এ অঞ্চলের জীবন রেখা তা আজ মৃতপ্রায়। এবার আমরা তিস্তা পারের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কোনো রাজনীতি করতে চাই না। দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে যেভাবে উন্নয়ন ও পরিকল্পনা গ্রহণ করলে মানুষের উপকার হবে, সেটাই করা হবে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু প্রমুখ।