অনলাইন ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, বাংলার শস্যভান্ডার হিসাবে একসময় বরিশালের খ্যাতি ছিলো। সে গৌরব এখন উত্তরবঙ্গের। বরিশালের সে সুনাম ও খ্যাতি আমরা পুনরুদ্ধার করতে চাই। বরিশালকে পুনরায় শস্যভান্ডারে রূপান্তর করা হবে। সেজন্য এ অঞ্চলের কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের আন্তরিকভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই বরিশালের সে হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার সম্ভব।
উপদেষ্টা আজ বিকেলে বরিশাল খামার বাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সভাকক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসমূহের বরিশাল অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সে জন্য খাদ্যমূল্য একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজের সুযোগ রয়েছে। জনগণের অন্যতম মৌলিক চাহিদা খাদ্য। সে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারা আরো আন্তরিকভাবে কাজ করলে খাদ্য উৎপাদন আরো বাড়বে।
সকল আবাদি জমিকে রক্ষা ও চাষাবাদের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, শুধু ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার দিকে মনোনিবেশ না করে কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করতে হবে। শুধু অফিসের সৌন্দর্য বর্ধন ও গাড়ি চাইলে হবে না, কৃষকদের জন্য সময়মতো সার, বীজ ও সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। যখন যে ফসল উৎপন্ন হয় সেটি উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এসি রুমে বসে বিলাসিতা করলে ফসল উৎপাদন বাড়বে না। মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, স্বজনপ্রীতি চলবে না। আত্মীয় স্বজনকে অনৈতিক সুবিধা দেয়া যাবে না। নিরপেক্ষভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। তিনি এসময় গবেষণায় মনোযোগী হয়ে জলবায়ু সহিষ্ণু ও স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হন এবং সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওসার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন-সহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরসমূহের বরিশাল অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।