বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী কাজল মাত্র ১১ বছর বয়সে এক বন্ধুর সঙ্গে বোর্ডিং স্কুল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কেন? কারণ তিনি তার দাদির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, কীভাবে মুম্বাই থেকে অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও দাদির সঙ্গে দেখা করবেন বলে স্কুল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
কাজল জানান, তার ঘরে চার প্রজন্মের নারী বসবাস করতেন, তার প্রপিতামহী, তার দাদি, তার মা এবং তিনি নিজে। তাদের সবার মধ্যে খুব গভীর সম্পর্ক ছিল, দারুণ টান ছিল। ভক্তরা তার মায়ের সঙ্গে কাজলের আবেগময় সম্পর্কের কথা জানেন, কিন্তু আপনি কি তার দাদি সম্পর্কে এ উপাখ্যানটি জানতেন?
কাজল তখন পড়াশোনার জন্য মুম্বাই থেকে পাঁচ ঘণ্টার দূরত্বে পাঁচগনিতে থাকতেন। ‘দ্য লাল্যানটপ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছিলাম যে আমার দাদির শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। আমি আমার মাকে ফোন করেছিলাম কিন্তু আমার পরীক্ষা চলছিল বলে তিনি আমাকে বাড়ি ফিরতে দিতে চাননি। ডিসেম্বরে আমার ছুটি ছিল, তাই তারা আমাকে ডিসেম্বরে আসতে বলেছিল। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। আমার আরেক বন্ধু ছিল যেও হোস্টেলে খুশি ছিল না, তাই আমরা দুজনেই বোর্ডিং স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
কাজল সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমরা দুজনেই ঠিক করলাম যে আমরা বম্বে যাব। আমি আমার স্থানীয় অভিভাবকের কাছে গেলাম, আমার মামা পঞ্চগনিতে থাকতেন, এবং আমি তাকে বললাম যে আমার মা আমাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। আমি তাকে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যেতে বললাম। আমি যখন বাসে অপেক্ষা করছিলাম, তখন নান এসে আমার কান ধরে আমাকে আবার স্কুলে নিয়ে যান।’
কাজল তার বোর্ডিং স্কুলের দিনগুলিকে সম্মান করে এবং বলে যে সে সেখান থেকে চিনি অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। অভিনেত্রী বলেছেন যে সেই সময়টা তাকে জীবনকে উপলব্ধি করতে সহায়তা করেছিল।
কাজল কেন বোর্ডিং স্কুলের পক্ষে?
কাজল তার বোর্ডিং স্কুলে এমন অনেক লোকের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন যারা তাকে জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি শিখিয়েছিলেন। বোর্ডিং স্কুলের সঙ্গে তার নিজের ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে, তিনি বাচ্চাদের বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করানোকে সমর্থন করেন।
কাজল জানান, তিনি শুধু মেয়ে নাইসাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠাননি, ১৪ বছর বয়সী ছেলেকেও বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর পরিকল্পনাও করছেন।