অনলাইন ডেস্ক – সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ চার আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর তিন আসামি হলেন—পিএসসির অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল ও লিটন সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আসামিদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেন এবং লিটন সরকারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাকি ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
পরে আবু সোলায়মান মো. সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ছয় আসামিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ১০ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরও কারাগারে পাঠানো হয়। তারা হলেন—পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ছয় আসামি নোমান সিদ্দিক, জাহাঙ্গীর আলম, এস এম আলমগীর কবির, প্রিয়নাথ রায়, জাহিদুল ইসলাম ও আবু জাফরের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত আগামী ১৬ জুলাই আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।