অনলাইন ডেস্ক – সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারসহ ৮ দফা দাবিতে আড়াই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীরা।
আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী শাহবাগ মোড় অবস্থান নিলে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেখানে উপস্থিত ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. বিন ইয়ামিন মোল্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৪৬তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। যারা ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের এখন লিখিত পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্নবিদ্ধ একটি পরীক্ষার পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া কীভাবে সম্ভব?
একই দাবিতে কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন।
তাদের কথা উল্লেখ করে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, গত ৮০ ঘণ্টা ধরে তারা অনশন করছেন। কর্তৃপক্ষ এখানে এসে লিখিতভাবে সমাধান জানালে তারা অনশন ভাঙবেন। কিন্তু আমাদের আট দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এর আগে, আজ বিকেলে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অনশনরতদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আন্দোলনকারীরা।
সবশেষ রাত পৌনে ৯টার দিকে শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন অবরোধকারীরা। তাদের আট দাবি হলো-
১. ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যতে ৪৬ বিসিএস বাতিলের কোনো সম্ভাবনা হবে না, তার নিশ্চয়তা দেওয়া।
২. ৪৫তম বিসিএস থেকে ভাইভার নম্বর ১০০ করা এবং প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা ও লিখিত পরীক্ষার ন্যূনতম দুই মাস আগে রুটিন প্রকাশ করা।
৩. সব বিসিএসের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করা। জুলাইয়ের ভেতর ৪৪তম বিসিএসের রেজাল্ট দিয়ে ভাইভা শেষ করে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা।
৪. দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে কমিশনের সদস্য সংখ্যার সীমা ২৫-৩০ জনে উন্নীত করা।
৫. লিখিত খাতার মূল্যায়নে গতি বাড়ানো, নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা আনতে কমিশনে বসে খাতা দেখার ব্যবস্থা করা।
৬. পদের অপচয় রোধে ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে ভাইভা শেষ হওয়ার পর ও রেজাল্টের আগে ক্যাডার চয়েজ প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া। ৪৫ থেকে ৪৭তম বিসিএসের ক্ষেত্রে ভাইভার আগে আবার ক্যাডার চয়েজ পূরণের সুযোগ দেওয়া এবং পরবর্তী বিসিএসগুলো থেকে প্রিলিমিনারির আগে ক্যাডার পছন্দ না নিয়ে শুধু ভাইভার আগেই ক্যাডার পছন্দের সুযোগ দেওয়া।
৭. সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও যথাসম্ভব স্বচ্ছ করা, ভেরিফিকেশনের হয়রানি কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করা।
৮. ৪৪তম বিসিএসের ক্যাডারের পদ বাড়ানো এবং নন ক্যাডার বিধি সংস্কার করে ভাইভা উত্তীর্ণ সবার ৯ম, ১০ম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করা।