আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে, প্রতারকেরা প্রতারণার নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করছেন। তবে তিন সাইবার প্রতারকের কাণ্ড দেখে অবাক হয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তারাও। তারা একেবারেই অভিনব কায়দায় প্রতারণার ফাঁদ পেতে ছিল। এই চক্রটি এমন এক ধরণের স্ক্যাম চালাচ্ছিল, যা আগে কখনও শোনা যায়নি।
“সন্তানহীন নারীদের অন্তঃসত্ত্বা করতে হবে!”—এমন চাকরির প্রস্তাব নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফোন করতেন ওই তিনজন। তারা মোটা অর্থের প্রলোভনও দিতেন। গ্রাহকদের বলা হতো, যদি নারীদের অন্তঃসত্ত্বা করতে সফল হন, তবে পাঁচ লাখ রুপি পাওয়া যাবে; আর যদি ব্যর্থ হন, তবে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত দেওয়া হবে। এই অভিনব প্রলোভন দিয়ে তারা বহু মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করছিল, যা পরে পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই মোটা অর্থের লোভে চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করতেন। প্রস্তাব গ্রহণ করলে ‘রেজিস্ট্রেশন ফি’ বাবদ ৫০০ থেকে ২০ হাজার রুপি জমা দিতে বলা হতো।
সম্প্রতি বিহারের নওয়াদা জেলার কাহুয়ারা নামের একটি গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, ওই তিন যুবক ‘বেবি বার্থ সার্ভিস’ নামে একটি ভুয়া সংস্থা খুলেছিলেন। সেই সংস্থা থেকেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হতো।
কত জন ওই যুবকদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।