1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন

নতুন শাখা খোলার বিষয়ে কঠোর নীতিমালা বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
  • ২১ বার পঠিত হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক

নিউজ ডেস্ক : ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন, সম্প্রসারণ, স্থানান্তর, ভাড়া ও ইজারার বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ এবং কঠোর নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন নীতিমালার আওতায় এনবিএফআইগুলো এখন থেকে ব্যবসা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন গ্রহণের পর তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমতি দিলে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে শাখা অনুমোদন দেওয়া পর্ষদের কেউ ঋণ খেলাপি ও দণ্ডিত হতে পারবে না।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ নীতিমালা জারি করা হয়।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়, আবেদনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক আর্থিক সক্ষমতা, মূলধন পর্যাপ্ততা, খেলাপি ঋণের হার, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনের আপত্তি, ক্যামেলস রেটিং এবং আমানতকারীদের সেবার মান বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে অনুমোদনের তিন মাসের মধ্যে নির্ধারিত শাখা স্থাপন না হলে অনুমতিপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

শুধু নতুন শাখা খোলা নয়, বিদ্যমান শাখা ও উপশাখার একীভূতকরণ, রূপান্তর কিংবা বন্ধ করার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

শাখা স্থাপনের আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই সংস্থাটির গত তিন বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, এ সময়ের আয়-ব্যয়ের বিবরণ এবং প্রস্তাবিত ভাড়ার স্থান ও পরিমাণ উল্লে­খ করতে হবে। পাশাপাশি প্রমাণ দিতে হবে যে ভাড়াকৃত স্থানটির সঙ্গে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, পরিচালক বা তাদের নিকট আত্মীয়দের কোনো স্বার্থ নেই। তদুপরি কোম্পানির কোনো পরিচালক ঋণ খেলাপি নয় এবং দণ্ডিত নন- এ মর্মে একটি ঘোষণাপত্রও জমা দিতে হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে শাখা স্থাপনের অনুপাত হবে ১:২। একটি শাখার আয়তন সর্বোচ্চ ৫,০০০ বর্গফুট হতে পারবে এবং প্রতি বর্গফুট ডেকোরেশন খরচ দুই হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, নতুন এ নীতিমালার ফলে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত হবে। এতে করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ রোধ হবে এবং পেশাদার, যোগ্য জনবল নিয়োগের পথ আরও সুগম হবে।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews