নিউজ ডেস্ক : গতকাল সোমবার ১৯ ডিসেম্বর রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় সিলেট শহরের লালদিঘিরপারের এক ব্যবসায়ীর কাছে পাচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে স্থানীয় একদল ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা এবং পরবর্তীতে প্রতি মাসে ৫০হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে, চাঁদা না দিলে ওই ব্যবসায়ীকে ব্যবসা করতে দিবে না এবং দোকান ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ওই সন্ত্রাসীরা। এমন অভিযোগ ওই ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন মো: তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উত্তর মনসুরপুর গ্রামের মো: সমসুল হকের ছেলে।
জানা যায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জনাব মাহবুব আলম ভূঁইয়া এর পুষিত দল। মাহবুব আলম ভূঁইয়া লালদীঘির পাড় এলাকার ”নিতু এন্টারপ্রাইজে”র মালিক এবং গত মাসে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে মো: তাজুল ইসলামের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি। এই পরাজিত হওয়ার পর তার ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আরো বেড়ে যায় । তখন থেকে তিনি কিভাবে মো: তাজুল ইসলামের ব্যবসা ধ্বংস করা যায় এই পায়তারা খুঁজতে থাকেন এবং তিনি তার দলের লোক পাঠিয়ে চাদা আদায়ের জন্য উঠে পড়ে লাগেন।
এ বিষয়ে সিলেট কোতয়ালি থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে থানায় অভিযোগ করেন তাজুল ইসলাম।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার লালদীঘিরপার সড়কে মো: তাজুল ইসলাম এর “মা পেপার এন্ড স্টেশনারি” নামক একটি দোকান রয়েছে। গত ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের পর থেকে ”মিতু এন্টারপ্রাইজের” মালিক মাহবুব আলম ভূঁইয়া মো: তাজুল ইসলামের জয় কে সাদরে মেনে নিতে পারছেন না।
তখন থেকে তিনি মো: তাজুল ইসলামের ব্যবসাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ছবির বিলেইনের মত গুপ্তচরের ন্যায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কার্য পরিচালনা করে আসছেন। উল্লেখিত গত ১৯ ডিসেম্বর রাত মাহবুব আলম ভূঁইয়া তার সঙ্গীদের দিয়ে মো: তাজুল ইসলামের দোকানে পাঁচ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। তবে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মো: তাজুল ইসলামের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে তারা বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে টাকা না দিলে তোর দোকানটি ভেঙ্গে ফেলব।
এছাড়া সময় সুযোগ মতো পাইলে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় ঐ দিন রাত থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মো: তাজুল ইসলাম এতে মাহবুব আলম ভূঁইয়া সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও লালদীঘির পার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জনাব আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি কিছুটা দূরে। তবে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি।