1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আঘাত হানার আশঙ্কায় আতঙ্কিত উপকূলবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ২১ বার পঠিত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড়

নিউজ ডেস্ক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আতঙ্কিত করে তুলেছে দেশের দক্ষিণ উপকূলের বাসিন্দাদের।

এদিকে উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কাশিমাড়ী পদ্মপুকুর মুন্সিগঞ্জ রমজান নগর কৈখালী এলাকার কয়েকটি বেড়িবাঁধ অতিঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরাও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম ইত্তেফাককে জানান, বুড়িগোয়ালিনীর দুর্গাবাটি ও দাতিনাখালীর ৩ জায়গায় বাঁধের অবস্থা ভালো না। গত আম্ফানে জায়গাগুলো ভেঙে গিয়েছিল। পরে মেরামত করা হলেও তা পুরোপুরি ঠিক হয়নি।

গাবুরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবদুর রহিম বলেন, ‘হরিষখালী, পার্শেমারী ৯ নং সোরা, টেকেরহাট, গাবুরা, চকবারা ও লেবুবুনিয়াসহ ৬টি জায়গায় বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ হয়ে আছে। এমনিতেই প্রতিনিয়ত সেখানে বাঁধ ভাঙছে।’

২০০৯ সালে ২৫ মে আইলায় গাবুরা দ্বীপ ইউনিয়নটির কয়েক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুটি বছর যাবৎ পানিতে ডুবে ছিল ইউনিয়নটি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আতঙ্কিত করে তুলেছে গাবুরা দ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আওতাধীন মোট ৩৮০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩ কিলোমিটার অতি-ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঝড়ের আভাস পেয়ে অতি-ঝুঁকিপূর্ণ ৩ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করা চলছে।’

সালাউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তি যত এগিয়ে আসছে আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রস্ততি অতি দ্রুত নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কড়া নজরদারিতে আছে কোনভাবে মানুষের জান মালের জেনো ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সানাউল ইসলামের ভাষ্য, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মাটির ধরন অন্য এলাকার থেকে ভিন্ন। বাঁধ নির্মাণের সময় কোন মাটিতে কাজ করা হচ্ছে, কোন লেয়ার দিয়ে করা হচ্ছে এবং কোন সময়ে করা হচ্ছে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত। সম্ভবত এর অনেক কিছু মাথায় রাখা হয়নি। তাই এই অবস্থার মধ্যে বার বার পড়তে হয় উপকূলীয় মানুষদের।

খুলনা অঞ্চলে এর আগে ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার সম ৬৮৩ কিলোমিটার এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় ৪৭৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলবাসী। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় শক্তি।

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews