নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে সাবেক সেনা কর্মকর্তার মাতাল ছেলের গাড়ির ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালত এই আদেশ দেন। আগামী রোববার তাদের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আইনজীবী রেজাউল করীম খান রেজা।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ৩০০ ফিট সড়কে বুয়েট শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ (২২) ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার মাসুদ মিয়ার ছেলে। তিনি বুয়েটের সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় তার আরও দুই সহপাঠী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহতরা হলেন— কুমিল্লা সদরের মফিজুর রহমান খানের ছেলে মেহেদী হাসান এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার তপন কুমার সাহার ছেলে অমিত সাহা। গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— গাড়ি চালক মুবিন আল মামুন (২০), গাড়ির অন্য দুই আরোহী মিরাজুল করিম (২২) এবং আসিফ চৌধুরী (২০)।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় নিহতের বাবা ৩ জনকে আসামি করে সড়ক পরিবহন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জব্দ করা হয়েছে প্রাইভেটকার। ভেতর থেকে বিয়ার ও মদের বোতল পাওয়া গেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাইভেট কারটির রেজিস্ট্রেশন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে রয়েছে। তার ছেলে মুবিন আল মামুন ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন
নিহত বুয়েট শিক্ষার্থীর বাবা মাসুদ মিয়া বলেন, গত রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন মুহতাসিম মাসুদ। তাঁর দুই বন্ধুসহ রাতে ৩০০ ফুট সড়কে ঘুরতে বের হন৷ সেখানে নীলা মার্কেটে তারা রাতের খাবার খান। পরে বাসায় ফেরার সময় নীলা মার্কেটের অদূরে একটি পুলিশ চেকপোস্টে তাঁদের থামানো হয়। ভোররাত আনুমানিক ৩টার দিকে পুলিশ চেকপোস্টে দাঁড়ানো অবস্থায় বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি পুলিশি চেকপোস্ট অতিক্রম করে বুয়েট ছাত্রদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বুয়েট ছাত্র মুহতাসিম মাসুদ৷
এ ঘটনায় আহত অপর দুই বুয়েটের ছাত্র মেহেদী হাসান বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত সাহা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে বিকেলে তিন আসামিকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মুবিনের পরিবারের সদস্য এবং মাসুদের বন্ধুদের আদালতে উপস্থিত হতে দেখা যায়। সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।