সকলের সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা গণমানুষের জন্য নিরাপদ সড়ক ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পারব – মোঃ এহছানুল হক।
অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২৪ সকলের সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা গণমানুষের জন্য নিরাপদ সড়ক ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পারব বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহছানুল হক। আজ বিকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ের ডিটিসিএ ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কর্তৃক আয়োজিত “গণপরিবহনে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে করণীয়” বিষয়ে গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সড়ক সচিব বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে অনেকেই তাঁদের আত্মীয়-স্বজন হারাচ্ছেন এবং অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত এই ক্ষতিগুলো অপূরণীয় বিধায় সড়কে দুর্ঘটনা যাতে কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাস মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী ও এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারগণকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিশেষে তিনি উল্লেখ করেন, সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে সড়ক সচিব বক্তব্য শেষ করেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মোঃ ইয়াসীন বলেন, সবার জন্যই এ গণপরিবহন এবং গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে, তাহলেই পরিবর্তন আসবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে মালিক-শ্রমিক-যাত্রী ও পথচারী সবার মধ্যে একটা সম্মানজনক অবস্থান তৈরির আহ্বান জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, সড়ক আইন ও বিধিমালা সংক্রান্ত জনসচেতনতা তৈরিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার বলেন, বর্তমান সময়ই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এবং ঢাকা মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, সমন্বিত ও আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ডিটিসিএ এর এ উদ্যোগে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে নির্বাহী পরিচালক ও সভার সভাপতি নীলিমা আখতার সভায় অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বিআরটিএ, বিআরটিসি, ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধি, ডিটিসিএ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, বাস মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিগণসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।