অনলাইন ডেস্ক – ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দুই ধাপে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে ব্যয় হবে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মারক এবং বিগত সরকারের ১৬ বছরের নিপীড়নের বিভিন্ন ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আওতায় ডেলিগেটেড ওয়ার্কস হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুথান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ স্থাপনার আনুষঙ্গিক সংস্কার ও বিবিধ কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৫ সালের ২১ মে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে অনুরোধ করে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ নিয়োজিত পরামর্শক স্থপতিগণ গত ২৭ জুন জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের একটি মাস্টারপ্ল্যান পাঠান। এই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অনুরোধক্রমে গণপূর্ত অধিদপ্তর ৭০ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকায় প্রকল্পের সিভিল অংশের কাজ সম্পন্ন করবে।
জাদুঘর নির্মাণের ই/এম অংশ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সম্পাদন করা হলে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৫ আগস্ট, ২০২৫) সম্ভব হবে না। তাই, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮ এবং পিপিআর ২০০৮ এর ৭৬ (২) অনুযায়ী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর (ই/এম অংশ)’ নির্মাণ/সংস্কার কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে মেসার্স শুভ্রা ট্রেডার্সের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এ-সংক্রান্ত দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।