বিনোদন ডেস্ক : ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ সিনেমা থেকে অভিনয় শুরু বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের। এরপর অনেকটা সময় গেছে। কালে কালে পরিবর্তন এসেছে আলিয়ার চেহারাতেও। কিন্তু এই চেহারা পরিবর্তন নিয়ে মাঝে মাঝেই বিতর্ক, কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীদের; তাতে বাদ গেলেন না আলিয়া ভাটও।
কখনও বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গালের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়েছেন আলিয়া ভাট। নাকে অস্ত্রোপচারও নাকি করিয়েছেন। এমনকি এ-ও বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে নাকি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়েছেন তিনি; এতে কথা বলার সময়ে আলিয়ার মুখ এক দিকে বেঁকে যায়।
অবশেষে এ সকল দাবির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আলিয়া। কড়া ভাষায় সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট লিখলেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘যারা চেহারায় অস্ত্রোপচার করিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনও মতামত নেই। এটা তাদের ব্যক্তিগত অভিরুচি। কিন্তু এটা কী! দাবি করা হচ্ছে অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে নাকি আমার মুখ বেঁকে গেছে, আমার হাসিতে পরিবর্তন এসেছে। আমার কথা বলার ধরনও নাকি অদ্ভুত। একটা মানুষের মুখ নিয়ে আপনাদের মনগড়া মতামত এই সব! এই ধরনের মন্তব্যের নেপথ্যে আপনারা আবার বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিচ্ছেন! আমার মুখের একটা দিক নাকি পক্ষাঘাতগ্রস্ত। আপনারা কি মশকরা করছেন?’
এখানেই শেষ নয়। আলিয়া আরও লেখেন, ‘এই দাবিগুলি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার কোনও প্রমাণ নেই, যুক্তি নেই। তার চেয়েও খারাপ হল, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের এই সব আবর্জনার মতো মিথ্যে তথ্য জানান দিয়ে আপনারা তাদের প্রভাবিত করছেন। ভিত্তিহীন এসব দাবিগুলো নিয়ে কি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য বলছেন?’
আলিয়া আরও লেখেন, ‘নারীদের মুখ, নারীদের শরীর, নারীদের ব্যক্তিগত জীবন, এমনকি নারীদের স্ফীতোদর নিয়ে নানা মানুষের নানা মন্তব্য নিয়ে আলোচনা সামাজিক মাধ্যমে। চলুন, আমরা সকলে একটা মিনিটের জন্য অন্তত বিষয়টির প্রতিবাদ জানাই। এই ধরনের মন্তব্য মানুষের মধ্যে হীনম্মন্যতা তৈরি করে। আরও দুঃখের বিষয় হল, এসব বিষয় নিয়ে সায় দিতে দেখা যায় নারীদেরও।’
সাধারণত সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ নিয়ে তেমন মন্তব্য করেন না আলিয়া ভাট। কিন্তু এবার আর তিনি নীরব থাকলেন না।