অনলাইন ডেস্ক – সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে শাক, সবজি ও মুরগির দাম কমেছে। একই সঙ্গে আলু আগের দামে বিক্রি হলেও পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে।
তবে সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার (০৪ এপ্রিল) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সবজি-মুরগির দাম কমার কারণ হিসেবে ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, প্রথমতো, এবার রমজানে ও ঈদে বাজার ছিল বেশ স্থিতিশীল। তার ওপর গত সোমবার (৩১ মার্চ) ছিল ঈদুল ফিতর। ঢাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ উদযাপন করতে গেছেন। তাদের অনেকেই এখনো ফেরেননি। এ কারণে এখন ঢাকার বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের চাহিদা কিছুটা কম।
রাজধানীর বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে।
এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কেজি প্রতি বেগুন প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, পটল কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা, কচুর লতি কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে সজনে কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৪০ টাকা ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, কাঁচা আম ১৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁপের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে শিম ৬০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে পাকা টমেটো কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে সব ধরনের শাকের দাম কমেছে। বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ৩ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারগুলোতে মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এসব বাজারে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩২০ এবং সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে আদা ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।
এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।