পর্যটন নগরী কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আলোচিত মা- মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে পরকীয়ায় আসক্ত স্বামী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগর কর্তৃক এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে অভিযুক্ত নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরের নিহত স্ত্রীর বড় ভাই হাফেজ সিরাজ দৌল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন বলে জানা গেছে। উক্ত ঘটনায় শনিবার রাতে নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগর,মোশাররফ হোসেন(২৮) ও রানা(১৫)সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাজীর পাড়ায় আল-কুরানুল কারিম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় হায়দার পাড়া মসজিদের ইমাম সিরাজুদ্দৌলাহর ছোট্ট বোন রুনা আক্তার ও ভাগ্নি ওয়াসিমা নুরে জারিয়া আক্তার নিজ বাসভবন “মুনতাছির ম্যানশনে” জুমার নামাজের সময়ে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। ঘটনার পর মামলার বাদী সিরাজ দৌল্লাহ তার স্ত্রীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় রান্না ঘরে মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ভাগ্নি ওয়াসিমা নুরে জারিয়া আক্তার এবং তার পাশেই মাথার পিছনে গলা ও ঘাড়ের এক-তৃতীয়াংশ জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট বোন রুনা আক্তারের মরদেহ পড়ে আছে। রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগর অন্য এক মহিলার সাথে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হতো বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। এদিকে, মা-মেয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের শেষে জানাজা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন করে নিহত রুনা আক্তারের বড় ভাই হাফেজ সিরাজ দৌল্লাহ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের আব্দুল হাদি সিকদার পাড়ায় জুমার নামাজের সময় নিজ বাসভবন “মুনতাছির ম্যানশনে” মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রুনা আক্তার বর্ণিত এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল আবছার প্রকাশ নুরু সওদাগরের স্ত্রী ও ওয়াসিমা নুর তারই শিশু কন্যা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুঠোফোনে আটককৃতদের কাছ থেকে বেশ কটি মোবাইলসহ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান।