পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁও’র তিন ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামীন জনপদের সাধারণ মানুষ। ফলে স্বাস্থ্য ঝুকিঁতে রয়েছে লক্ষাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
সুত্র মতে, প্রান্তিক জনগোষ্টীর মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্র থাকার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে। তন্মধ্যে পোকখালী,ঈদগাঁও ও ইসলামপুরে দীর্ঘকালেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র নির্মিত হয়নি। ফলে তিন ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক লোকজন প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।
শুধুমাত্র জালালাবাদ আর ইসলামাবাদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র থাকলেও অপরাপর তিন ইউনিয়নের অসহায় রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
দেখা যায়,জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিন পাশে হওয়ায় জালালাবাদ ইউনিয়ন ছাড়াও বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে রোগীরা প্রতিদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভীড় করে থাকে। স্ব স্ব ইউনিয়ন ভিক্তিক স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্র না থাকার ফলে এক ইউনিয়নের লোকজনকে অন্য ইউনিয়নে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিতে হচ্ছে। এতে করে,অযথা সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে জানান গ্রামাঞ্চলের অসহায় রোগীরা।
পোকখালী ইউপির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের ও রাজনীতিবীদ আজীজুল হক রুবেল জানান, ইউনিয়নে স্বাস্থ্য-পরিবার কল্যান কেন্দ্র নেই তাই সাধারণ মানুষের জন্য একমাত্র ভরসা স্থানীয় ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা। একটু গুরুতর হলে নিয়ে যেতে হচ্ছে জালালাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা দুরবর্তী কোন হাসপাতাল। এলাকার অসহায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্র নির্মানে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইসলামপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আলম জানান, দীর্ঘবছর ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র না থাকায় এই লবণ শিল্প এলাকার গ্রামীন জনপদের লোকজন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক জানান, কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে পোকখালী, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে নেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ফলে প্রসুতিসহ সাধারণ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।