1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

এপ্রিল নয়, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই তারিখ নিয়ে সমঝোতা হতে পারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

নিউজ ডেস্ক : নির্বাচনের তারিখ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের রাজনীতির মাঠ। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুনভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের টাইম ফ্রেম ঘোষণার আগ থেকেই বিএনপি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। ফলে এই সময়সীমায় খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বিএনপি।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক বৈঠক হতে যাচ্ছে শুক্রবার।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডরচেস্টার হোটেলে বৈঠকটি হবে রুদ্ধদ্বার। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক। এ কারণে বৈঠকের এজেন্ডা নিয়ে জনমনে আরও বেশি চাঞ্চল্য ও উৎসাহ তৈরি হয়েছে।

তবে দুই পক্ষের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র যুগান্তরকে জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং ইতোমধ্যে দুই তরফ থেকে এ বিষয়ে প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার প্রধান বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনা। এজন্য সরকার এপ্রিল থেকে সরে এলে, বিএনপিও ডিসেম্বর থেকে সরে আসবে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করাই আলোচনা-সমঝোতার প্রধান বিষয় হয়ে দেখা দিতে পারে।

এছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার, বিচার, জুলাই চার্টারসহ (জুলাই সনদ) নানা ইস্যু একে একে আলোচনায় উঠে আসবে। এমনকি নির্বাচিত পরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয় সংসদে অন্তর্বর্তী সরকারের সব কর্মকাণ্ড অনুমোদন দেওয়াসহ এ সংক্রান্ত অনেক কিছু আলোচনায় আসবে বলে বিশ্লেষকদের অনেকে অভিমত দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক এ ঐতিহাসিক আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে চলমান রাজনীতিসহ অনেক কিছু বিপদগামী হতে পারে। তবে কেউ কেউ এমনও বলেছেন, দেশের সার্বিক স্বার্থে এ বৈঠকের সার্বিক আলোচনা, মতবিরোধ ও সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা ঠিক হবে না। বরং সেটি পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হতে পারে। কিন্তু আগে প্রকাশ করা হলে নানামুখী ষড়যন্ত্র বিস্তার লাভ করবে এবং দেশ ও জনস্বার্থের অনেক ভালো উদ্যোগও ভেস্তে যেতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘বৈঠকের ফলাফল ইতিবাচকই হবে বলে বিশ্বাস করি। আলোচনার মাধ্যমে একটা সমঝোতায় দুই পক্ষ পৌঁছাবে বলে মনে করি। এতে দেশের জন্য মঙ্গল হবে, রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে, নবদিগন্তের সূচনা হবে। কিন্তু এই আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যর্থ হলে বহুবিধ সংকট দেখা দেবে। তবে সবাই বিশ্বাস করতে চায়, আলোচনার মধ্যে মতবিরোধ হতেই পারে, কিন্তু পরিশেষে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে গিয়ে উভয়পক্ষ ছাড় দেবে এবং অনেক বিষয়ে সমাধান আসবে। পুরো জাতি এমনটিই প্রত্যাশা করে। এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়, এটা নতুন কোনো বিষয় নয়। যেহেতু আমরা আলোচনায় যাচ্ছি, এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সে পর্যন্ত আমাদের চুপ থাকতে হবে।’

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews