আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ রোববার ড্রোন ও রকেট দিয়ে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়ে ইসরাইলের সামরিক অবস্থানগুলোতে ব্যাপকভাবে আঘাত হেনেছে।
হিজবুল্লাহর সর্বশেষ এই আক্রমণটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন এবং লেবাননের প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে চালানো হয় বলে জানা গেছে।
রোববার সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহর সামরিক মিডিয়া একাধিক বিবৃতির মাধ্যমে এই আক্রমণের বিবরণ প্রকাশ করেছে।
প্রথম আক্রমণ: রোববার মধ্যরাতে শেবার কাছে হাসান গেটের পাশে একটি ইসরাইলি সেনা সমাবেশে প্রথম রকেট হামলা চালানো হয়।
দ্বিতীয় আক্রমণ: ১৫ মিনিট পরই হাগোশরিমে ইসরাইলি সেনা সমাবেশে এক ঝাঁক রকেটের একটি হামলা চালানো হয়।
তৃতীয় আক্রমণ: ভোর সাড়ে ৩টায় হিজবুল্লাহ বাহিনী আয়তরউনের কাছে ইসরাইলি সেনাদের একটি অনুপ্রবেশ প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে। যাতে ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
চতুর্থ আক্রমণ: সকাল সোয়া ৯টায় কিরিয়াত শামেনায় ইসরাইলি বসতি লক্ষ্য করে আরও একটি রকেট স্যালভো চালানো হয়।
পঞ্চম আক্রমণ: সকাল সাড়ে ১০টায় হাউলা ও মার্কাবার পূর্ব দিকে ইসরাইলি বাহিনীর একটি সমাবেশকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়।
ষষ্ঠ আক্রমণ: সকাল ১০:৩০ টায় একটি ড্রোন স্কোয়াড্রন দ্বারা আভিভিম বসতির কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সমাবেশে আকাশ থেকে আক্রমণ চালানো হয়।
সপ্তম আক্রমণ: সকাল ১১টা ০৮ মিনিটে আকর শহরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত শ্রাগা ঘাঁটিতে রকেট স্যালভো চালানো হয়।
আরও ৪টি হামলা: সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ইভেন মেনাচেম, স্হুলা, জারিত এবং শোমেরা এলাকায় ধারাবাহিক রকেট হামলা চালানো হয়।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এই হামলাগুলো উত্তরাঞ্চলের ইসরাইলি শহর ও বসতিগুলোতে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। এর আগে ওই অঞ্চলের অধিবাসীদের দ্রুত সরে যেতে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, কিছু ড্রোন ও রকেট তাদের সামরিক অবস্থানে আঘাত হেনেছে।
এই আক্রমণগুলো হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ সংগ্রামের অংশ হিসেবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থানকেই তুলে ধরেছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি