নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ যে অত্যাচার ও অপকর্ম করেছে তা আর কাউকে করতে দেওয়া হবে না। বিগত ১৬ বছর বিএনপি অস্থির দুঃশাসন অতিক্রম করেছে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ একক কোনো সংগঠনের দেশ নয়। এ দেশ গড়তে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে। বিএনপির যত বড় নেতাই হন না কেন- তিনি যদি কোনো অপকর্ম করেন, তার জায়গা বিএনপিতে হবে না। ফ্যাসিবাদীদের যিনি আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবেন তার জায়গাও বিএনপিতে হবে না। এমনকি কেউ যদি এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার বিকালে যশোর টাউন হল মাঠে জেলা বিএনপির বিজয় র্যালিপূর্ব সমাবেশে দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন এবং ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনছারুল হক রানা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ এ সময়ে কর্মীরা কী কারণে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে, শত শত মামলার শিকার হয়েছে, গুম হয়েছে, রাজপথে দুর্বার আন্দোলন করেছে, জেল খেটেছে- এ বিষয়টি প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে। আন্দোলনের এই ফসল যাতে বৃথা না যায় সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রত্যেক নেতাকর্মীর এখন সব ভেদাভেদ ভুলে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই ছিল বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত করার, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের, সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, মেধার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে জায়গা করে নিতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচনের যে ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন, সেই নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে এখন থেকে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের যে ৩১ দফা দিয়েছেন, পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-গঞ্জের প্রত্যেক মানুষের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিজয় র্যালি শহরের দড়াটানা মোড় হয়ে চৌরাস্তা দিয়ে যশোর মণিহার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।