সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার জয়শ্রী ইউনিয়নের শীমের খাল নামক আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে আগুনে পুড়ে মারা যায় একই পরিবারের ৬ জন। এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির ক্রাইম সিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আফম মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘরের ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিল। পাশের ঘরের লোকজন আগুনের ধোয়া দেখে চিৎকার করতে থাকে। এসময় স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে একই পরিবারের দম্পতি ও তার চার সন্তানকে আগুনে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় দেখতে পায়।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা হলেন- এমারুল (৫০), তাঁর স্ত্রী পলি আক্তার এবং তাঁদের চার সন্তান পলাশ মিয়া (৯), ফরহাদ (৭), ফাতেমা বেগম (৫) ও উমর ফারুক (৩)।
জানা গেছে, এমারুল পেশায় একজন জেলে। ভূমিহীন এমারুল ২০০১ সাল থেকে শীমের খাল নামকস্থানে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন। ২০২১ সালে সরকারিভাবে এই স্থানে আশ্রয়ণ প্রকল্প করলে তাঁকে একটি ঘর দেওয়া হয়। সেখানেই পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছিল পরিবারটি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন, একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুআশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন, একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার আফম মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, ‘এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। কী কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে তা অধিকতর তদন্তের জন্য সিলেট থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ও পিবিআই আসছে। আরও তদন্ত করে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।’
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা সমাজের জন্য খুবই মর্মান্তিক। এই পরিবার যদি আর্থিকভাবে সমস্যায় থাকতো আমাদের কাছে জানালে আমরা সহায়তা করতাম। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ এমন কোনো কাজ না করে, এজন্য সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’