অনলাইন ডেস্ক – যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও আরিফ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে রফিকুল ইসলাম ও আরিফ নিহত হন।
আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিন রিমান্ড শেষে গৃহকর্মী লিজা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে রমনা মডেল থানার মামলায় শাহরিয়ার কবিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখান। এছাড়া জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করা রয়েছে।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর গৃহকর্মী লিজা আক্তার নামের তরুণীকে হত্যার অভিযোগে করা একটি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য শাহরিয়ার কবিরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার বউবাজার রোডে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গোলাগুলিতে চোখে গুলি লাগে আরিফের। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আরিফের বাবা মো. ইউসুফ যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এছাড়া রফিকুল ইসলাম গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।