1. [email protected] : Masumasian :
  2. [email protected] : Masum Talukdar : Masum Talukdar
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৫ অপরাহ্ন

আন্দোলনে ধর্ষণের অভিযোগ আনা সেই নারীর ৪২ মিনিটের রেকর্ড ফাঁস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট এর সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১ বার পঠিত হয়েছে
আন্দোলনে ধর্ষণের অভিযোগ আনা সেই নারীর ৪২ মিনিটের রেকর্ড ফাঁস

নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমিতে এক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক নারী।

 

তার ভাষ্য ছিল, নারায়ণগঞ্চ চাষাড়া থেকে একদল ছাত্রলীগের নেতারা তাকে তুলে নিয়ে যায়। নিজেদের একটি অফিসে নিয়ে প্রথম নির্যাতন করা হয়। পরে দুজন নেতা ছাড়া বাকীরা চলে যান। এবং ওই দুই নেতা তাকে ধর্ষণ করে।

 

পরে ওই ঘটনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ককে জানিয়েও কোন বিচার পাননি বলেও দাবি করেছিলেন ওই নারী। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সমন্বয়ক তা অস্বীকার করছেন।

 

এ ঘটনা নিয়ে পরবর্তিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সবশেষ ফাঁস হলো ওই নারীর ৪২ মিনিটের একটি ফোন রেকর্ড। রেকর্ডটি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সায়মা মাসুদ মোমো।

 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে সায়মা মাসুদ মোমো নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এই বিষয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন। সেখানেই রেকর্ডটি প্রকাশ করেন।

 

সায়মা মাসুদ মোমোর সেই পোস্টটি নিম্নে তুলে ধরা হলো-

আদ্রিনা মাহিকে ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে তাকে সমন্বয়কদের সাহায্য না করা প্রসঙ্গে-

প্রথমেই বলছি, সত্য মিথ্যার বিচার আমি করব না, আমি শুধু পুরো ঘটনার বিস্তারিত বলব। অনেক লম্বা কাহিনী, পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইলো, বিচারের দায়িত্ব আপনাদের হাতে।

ঘটনার শুরু :
আদ্রিনা মাহির সাথে আমার পরিচয় হয় আগস্টের পরে,নারায়ণগঞ্জে যাবার পর।আমার সাথে তার খুবই ভালো সম্পর্ক। আমি সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও আমার কাছে তার এমন একটা কম্ফোর্ট জোন আছে যে সে আমাকে “আপু ” না ডেকে তুমি করেই বলে।

তারিখটা ঠিক মনে নেই, একদিন হঠাৎ সে এসে বলতেসে, “মম, আমার সাথে তো আন্দোলনের সময় খারাপ কাহিনী ঘটেছে। আমি তো আন্দোলনের সময় রেইপড হয়েছিলাম, এজন্য আমাকে এখন আমার বাসা (নারায়ণগঞ্জ) থেকে বের করে দিয়েছে। ” তারপর আমি তার কাছ থেকে এ ঘটনা শুনে তাকে পরামর্শ দিলাম, সান্ত্বনা দিলাম, স্টেপ নিতে চাইলাম কিন্তু সে ওই ব্যাপারে আগালো না তেমন একটা।

একদিন হঠাৎ মাহি আমার কাছে এসে বলে ঢাবিতে অনেক আসন ফাঁকা আছে, তার জন্য যেন একটা সিটের ব্যবস্থা করে দিই। আমি তখন ওকে বুঝাই যে, এটা পুরোপুরিভাবে অবৈধ এবং এটা করাও সম্ভব না। যাইহোক,এর অনেকদিন পর ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে সকাল ৫.৩০-৬.০০ টার মধ্যে সে আমাকে কল দেয়। কল দিয়ে বলে, “আমিতো প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছি, এখন বুঝতে পারতেসি না কি করব, আমিতো সুইসাইডাল হয়ে যাচ্ছি”।

সেই সাথে তখন মাহি আমাকে মেসেঞ্জারে একটা প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের ছবি দেয়। আমি তখন খুবই কন্সার্ন্ড হয়ে পড়ি এটা নিয়ে এবং তাকে আমার হলের সামনে আসতে বলি। সে আমার হলের সামনে আসলে আমরা ১৩ নভেম্বর সকাল ৮ টার দিকে ধানমন্ডি লেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিই, সেখানে রেস্টুরেন্টে বসে তার সাথে আমার প্রায় ২ ঘন্টার মতো কথাবার্তা হয়, সেগুলো নিচে উপস্থাপন করছি-

আদ্রিনা মাহিকে আমি প্রথমেই সান্ত্বনা দিই এবং ভেঙে পড়তে না করি। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করি যে কি কি হয়েছিলো ডিটেইলস এ বলতে, যাতে তাকে যথাযথ সহায়তা করতে পারি। মাহি আমাকে বলে যে, ৪ আগস্ট সে সকাল ৯ টার দিকে আন্দোলন করার জন্য নারায়ণগঞ্জ এর একটি স্থানে (চাষাড়া বা গোল চত্বর, স্থানের নামটা আমার এক্সাক্টলি মনে নেই) অটো থেকে নামে। অটো থেকে নামার পর নাকি তাকে ৪-৫ জন আওয়ামীলীগের কর্মী ঘিরে ধরে এবং তাকে টেনে হিচড়ে রিকশায় তুলে নিয়ে যায়। মাহি আমাকে জানায়, সে আন্দোলন করার জন্য মাইক নিয়ে আসছিলো এবং সেটা সে অটোওয়ালার কাছে লুকিয়ে রাখে, অটোওয়ালা প্রকাশ্যে তার কাছে মাইক হ্যান্ডওভার করার কারণে আওয়ামীলীগের কর্মীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। ৩ আগস্ট মাহিকে নাকি আন্দোলন শেষে বিকালে বাসায় যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতারা থ্রেড দিয়েছিলো রেইপ করার।

তখন স্বাভাবিকভাবে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, ” তোমাকে থ্রেড দেয়ার ঘটনা আর কেউ কি জানতো বা কাউকে বলেছিলে?” মাহি বলে যে, মাহি আন্দোলন শেষে ৩-৪ জন ফ্রেন্ড এর সাথে মিলে বাসায় ফিরত( নাসিমা, রাতুল,সাইফুল,সাফা,নিরব)। কিন্তু কেউ ই এই হুমকি সম্পর্কে সম্পর্কে জানতো না, সে জানায় নাই।

এরপর মাহি জানায় তাকে আওয়ামীলীগের কর্মীরা শামীম ওসমানের ভাইয়ের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষণ করে। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি যে ধর্ষণকারী কারোর নাম কি সে জানে কি না বা এখন দেখলে চিনতে পারবে কি না। মাহি বলে যে তার কারও চেহারাই মনে নেই, সে কাউকে চিনতে পারবে না। তবে একজনের বয়স ৩০ এর মতো ছিলো বাকিরা ইয়াং ছিলো। তারপর এক পর্যায়ে সে নাকি তাদেরকে আওয়ামী লীগের এক নেতার নাম বলে যে মাহির পরিচিত, সেই আওয়ামীলীগ নেতার নাম শোনার পর তাকে দুপুর ১২.৩০ এ ধর্ষকরা ছেড়ে দেয়। এরপর সে রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসে। এই ঘটনা সে বাসায় কাউকে জানায় না এমনকি নাসিমা সহ তার আন্দোলনে থাকা কোনো সহযোদ্ধাকেও জানায় না।

ঘটনার দ্বিতীয় অংশ :

মাহি আমাকে জানায় ৪ আগস্ট আন্দোলনে ধর্ষণ হবার পর দ্বিতীয়বার সে আবার ধর্ষিত হয় ১০ আগস্ট। মাহির ভাষ্যমতে, সেদিন মাহি ঢাকার বাইরে এক আত্মীয়ের বিয়ে খেতে গিয়েছিলো একা একা। ফিরতে ফিরতে রাত ১০ টা বেজে যায়। তখন সে উবারে বাইক কল করে এবং বাইক দিয়ে ফেরার পথে বাইক ড্রাইভার তাকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ,যাত্রাবাড়ীর আশেপাশে একটা এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। তখন আমি মাহির কাছে ওর কল লিস্ট ঘেটে বাইক ড্রাইভারের নাম্বারটা দিতে বলি,যেহেতু তার ভাষ্যমতে সে উবারে বাইক কল করেছে, সো, রাইডারের নাম্বার বা ট্র‍্যাকিং হিস্টোরি থাকার কথা। তৎক্ষনাৎ মাহি আমাকে জানায় সে ভুল বলেছে, উবারে বাইক কল করেনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক বাইকারের বাইকে উঠেছে। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করি সে বাইকারকে চিনতে পারবে কি না। সে বললো না, চিনতে পারবে না, কারণ ধর্ষণ করার সময় বাইকারের মাথায় হেলমেট পরা ছিলো তাই মাহি বাইকারের চেহারা দেখতে পায় নি। পরবর্তীতে সে বাসায় চলে আসে এবং এই ঘটনাও সে কাউকে জানায় না। ১০ তারিখ রাতে নাকি তার মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন সে বাইকারের ফোন থেকে তার আম্মুকে কল দেয়। আমি তখন মাহিকে বলি, ওর আম্মুর ফোন থেকে বাইকারের নাম্বার নিয়ে দিতে। মাহি জানায়, তার বাসার সাথে এখন তার কোনোই যোগাযোগ নেই, তাই সে নাম্বার বের করতে পারবে না।

১৩ নভেম্বরের ঘটনায় আবার ফেরত আসি, এসব কিছু মাহির কাছ থেকে জানার পর আমি মাহিকে জিজ্ঞেস করি সে এই ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের কোনো সমন্বয়ক বা পুলিশের কাউকে জানিয়েছে কি না। মাহি জানায়, মাহি পুলিশের কাছে গিয়েছিল কিন্তু কোনো প্রমাণ না থাকায় পুলিশ মামলা নেয় নি। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, জিডিও করেনি? সে বললো না। তখন আমি মাহিকে পরামর্শ দিলাম নারায়ণগঞ্জ থানায় গিয়ে অজ্ঞাত নামা মামলা করতে, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য তাকে সাহায্য করতে চেয়েছি আমি, এমনকি নারায়ণগঞ্জের এসপি মহোদয়ের কাছেও ব্যাপারটা জানাতে চেয়েছি।মাহি সেটাও তখন করতে চায়নি,মানে ও তখন অজ্ঞাত নামা মামলাও করতে চায় নি।

এরপর মাহি আরও অনেককেই এই ঘটনা সম্পর্কে জানায়, তাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে আমার সাথে হাসপাতালে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। সারজিস ভাই মাহির সাথে সরাসরি এ ব্যাপারে কথা বলে এবং তাকে হেল্প করতে চায়, কিন্তু মাহি তখনো গড়িমসি করে।সারজিস ভাইকে আমি আবারও মাহির ব্যাপারটা নিয়ে জানাই, তখন উনি আমাকে পপুলার হাসপাতালের একজন ডাক্তারের সাথে মাহির শারীরিক অবস্থা নিয়ে পরামর্শ করার জন্য জানান।

তখন মাহিকে পপুলার হাসপাতালের একজন ডাক্তারের এড্রেস দিয়ে বলি ওই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে। কারণ, মাহির দেয়া তথ্যমতে তখন ৩ মাস ওভার হয়ে গেছে,এই মুহুর্তে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো স্টেপ নেয়া উচিত না। উল্লেখ্য যে,মাহি সুইসাইডাল হয়ে এবোরশনের স্টেপ নিতে চাচ্ছিলো বারবার। সেদিন আমি তাকে অনেক সাপোর্ট এবং সান্ত্বনা দিয়ে এবোরশন ছাড়া অন্য বিভিন্ন অল্টারনেটিভ উপায়ের কথা বলি যাতে সে সুইসাইডাল হওয়া থেকে বিরত থাকে। তারপর আমি তাকে রিকশায় করে ঢাকায় যেই মেসে সে থাকে, সেই মেসের সামনে দিয়ে আসি। মাহির ভাষ্যমতে, তার পরিবার তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে, তার থাকার জায়গা নেই। সেই মুহুর্তে বৈষম্যবিরোধীরই একজন সিনিয়র আপু তাকে আশ্রয় দেয় তার অসহায়ত্বের কথা শুনে। আমি মাহিকে বলি সে যেন বাসায় যোগাযোগ করে এবং তার বাসার নাম্বারটা আমাকে দেয়, আমি ওর বাসায় কথা বলে সব বুঝিয়ে বলতে চাই কারণ ঢাকা শহরে একটা মেয়ের এই অবস্থায় একা থাকা সমীচীন না। মাহি তখন তার পরিবারের নাম্বার দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

যাইহোক, পরবর্তীতে সে বৈষম্যবিরোধীর আরও ককয়েকজনের কাছে এই ব্যাপারে জানায়।

নুসরাত তাবাসসুম আপুর সাথে মাহির কথা হলে, মাহি নুসরাত আপুকে জানায় যে সে এবোরশন করাতে চায়। কিন্তু নুসরাত আপু মাহিকে জানায়, যেহেতু তিন মাস পেরিয়ে চার মাস প্রায় হয়ে যাচ্ছে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ ব্যাপারে আগানো এখন মাহির শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

নুসরাত আপু তাকে ভালো হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায় এবং ব্লাড টেস্ট সহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা এগিয়ে নিতে বলে। একই সাথে মাহি নিজে মামলা করতে না চাইলে বৈষম্য বিরোধীর পক্ষ থেকে কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে যদি মাহি কম্ফোর্টেবল তাহলেও যেন বাদি হয়ে মামলা করায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চায়।

হান্নান মাসঊদ ভাইকেও মাহি এ ব্যাপারে জানায় এবং সাথে এটাও জানায় যে, আমার সাথে তার (মাহির) আগে কথা হয়েছে এ ব্যাপারে এবং আমি তাকে সাহায্য করছি। তখন হান্নান মাসঊদ ভাই সাথেসাথেই আমাকে কল দেয় এবং মাহিকে যেন সর্বোচ্চ ও দ্রুত হেল্প করার জন্য পদক্ষেপ নিই সেজন্য তাগাদা দেয়।

উমামা ফাতেমা আপুর সাথে মাহির এ ব্যাপারে কথা হয় এবং উমামা আপুও তাকে মামলার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য তৎপর হয়।

প্রত্যেকে তাকে আইনি পদক্ষেপ সহ মেডিক্যাল রিলেটেড ব্যাপারেও হেল্প করতে চায় কিন্তু সে বিভিন্নভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে গড়িমসি করতে থাকে, কোনো ডাক্তারের কাছে যায় না, কোনো প্রেসক্রিপশন ও দেখাতে পারে না, মামলা করার জন্য স্টেপ নিলেও সে আগাতে চায় না গড়িমসি করে।

এরপর একদিন হঠাৎ আমি তার ফেসবুক স্টোরি / নোট দেখি। সেখানে লেখা ছিলো, “আল্লাহ তুমি যা ছিনিয়ে নাও তা কেন দাও?”

এই নোট দেখে আমার মনে হলো মাহির হয়তো মিসক্যারেজ হয়েছে, তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম। মাহি আমাকে জানায়, ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধীর প্রোগ্রামে গিয়ে গাড়ি থেকে নামার সময় হঠাৎ করেই তার ব্লিডিং শুরু হয়, তারপর সে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসে এবং বাসার ওয়াশরুমের কমোডে এক বাচ্চা পড়ে যায়, আরেক বাচ্চা ওয়াশরুমের ফ্লোরে পড়ে যায়। তাকে আমি বারবার জিজ্ঞেস করি, কোনো আঘাত লেগেছিল কি না, অথবা স্লিপ কেটেছিলো কি না? সে আমাকে জানায় কোনো আঘাত ছাড়াই নাকি তার মিসক্যারেজ হয়েছে।

আমি সত্য, মিথ্যা বা কোনো কনক্লুশন দিব না। পুরো পোস্টটা যারা পড়েছেন তাদের অনেক জায়গায়ই কনফিউশন থাকতে পারে, আমারও ছিলো। কিন্তু মাহির সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো বিধায় তার ইমেজের কথা চিন্তা করে আমি এর ডিপ ডাউন এনালাইসিস এ যাইনি এতদিন। কিন্তু আজকে সে শিল্পকলা একাডেমিতে যেই বক্তব্য দিয়েছে সেটা স্পষ্টতই মিথ্যাচার। সমন্বয়কদের অনেকেই ওকে অনেকবার সহায়তার কথা বলেছে কিন্তু সে বিভিন্নভাবে গড়িমসি করে সহায়তার দিকে আগায়নি।

মাহির সাথে আমার ১৩ নভেম্বর কথা হবার দিন আমি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো নোট করেছিলাম আমার নোটখাতায়, সেগুলোর ছবি দিচ্ছি। একটা ড্রাইভ লিংক শেয়ার করছি যেখানে মাহির সাথে আমার ৪২ মিনিটের কথোপকথন আছে। আমার সাথে ওর সরাসরি ২ ঘন্টা কথা হয়েছে, কিন্তু ওর কথা শোনার অর্ধেক সময় পর হঠাৎ কেমন জানি সব অগোছালো লাগতে শুরু করলো। তখন আমি মোবাইলের রেকর্ডারটা অন করি। সেই সাথে আমার সাথে মাহির চ্যাটিংএর কিছু স্ক্রিনশটও দিচ্ছি।

মাহির উদ্দেশ্যে বলছি, মাহি তুমি আমাকেসহ অনেককেই বলেছো যে, আমি তোমাকে পুরোটা সময় বোনের মতো সাপোর্ট দিয়েছি। তোমাকে আমি আহ্বান করছি, সামনে আসো, মুখোমুখি হও এবং বিনা কারণে মিথ্যাচার না করে সত্যটা সামনাসামনি পরিষ্কার করো সৎসাহস থাকলে।

যেভাবে আজকে ওপেনলি একপাক্ষিক বক্তব্য দিয়ে সবার সামনে মিথ্যাচার করেছো, সেভাবে সামনাসামনি হয়ে বলো যে তোমাকে বৈষম্যবিরোধীর সকলে সাপোর্ট দিতে চেয়েছে কি না? তুমি গড়িমসি করেছো কি না?

আমি চাই এবার সকল রহস্যের জট খুলুক। মাহিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনানো হলে থলের বেড়ালও বের হয়ে আসবে। সাহস এবং প্রমাণ থাকলে, এসে বলো যে আমার পোস্টে বলা কথাগুলো মিথ্যা!

দয়া করে পোস্টটি আপনার স্যোসাল মিডিয়া শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
Theme Customized BY LatestNews