শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সবীজ ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের দেশে একটা বিপ্লব হয়েছে। বিপ্লবের পরে কোনকিছু আগের সিস্টেমে চলে না, কিন্তু আমরা এখনো আগের সিস্টেম ধরে রেখেছি। প্রশাসনের কারো কারো অসহযোগীতার কারণে দেশে স্থবিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভাঙা হবে, প্রয়োজন দেখা দিলে প্রশাসনে অসহযোগীদের স্থলে নতুন নিয়োগ নিয়েও সরকার ভাববে।
আজ নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং জেলা দপ্তর সমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকারের উপর স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে যাতে টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ট্রাক সেলের মাধ্যমে কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার যে পরিকল্পনা সেটা ঢাকায় চালু হয়েছে। চট্টগ্রামেও অতিশীঘ্রই এটা চালু করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।সিন্ডিকেট গুলোর উৎস চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করতে হবে। যতবড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাজার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর ও উদ্যোক্তাদেরকে নিয়ে সিন্ডিকেটকে বাইপাস করে একটা স্থায়ী সমাধানের পথে এগোতে হবে। বিগত কিছু বছর ধরে কৃষি উদ্যোক্তা এবং শ্রমজীবী থেকে শুরু করে তরুণ সমাজ পন্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কোন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদল যাতে আপনাদের বাঁধা দিতে না পারে সেজন্য সরকার এবং প্রশাসন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সবগুলো দপ্তরের মাঝে সমন্বয় ঘটাতে হবে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সবাইকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য বা আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাঝে জবাবদিহিতায় আনতে হবে। নতুন বাংলাদেশে মানুষের ভোগান্তি কমানোর ক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে। এতে মানুষের মাঝে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে এবং বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্তণালয়ের সচিব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সকালে উপদেষ্টা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন এবং স্টেডিয়াম সংস্কারের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।