পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা সকলেই মিলেমিশে সহাবস্থানে থাকতে চাই। আমাদের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না। তিনি বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য বৈষম্যহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলা।
আজ খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে খাদ্যশস্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ফেরাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীকে আইন নিজ হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা–সংঘাত না করে সকলকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
দুইশত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ কেজি হারে চাল, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও সম্প্রতি মৃত তিনজন ব্যক্তির প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ১ লাখ টাকার অনুদান চেক বিতরণ করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
পরে উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি সদরে বিভিন্ন ঘটনায় নিহত জুনানসহ অন্যান্য পরিবারের নিহত সদস্যদের বাড়িতে যান এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদেরকে সমবেদনা জানান।
গত ১লা অক্টোবর অপ্রীতিকর ঘটনায় সংগঠিত সংঘাতে খাগড়াছড়ি সদরের মহাজন পাড়া, পান খাইয়া পাড়া রোডে ক্ষতিগ্রস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্নিচারের দোকান, ইজি বাইক মালিক কল্যাণ সমবায় সমিতি অফিস, বিউটি পার্লার, গার্মেন্টস ও পোশাকের দোকান, মনিহারি দোকান পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের তিনি শান্ত্বনা দেন এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ খাগড়াছড়ি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাতে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউসের অডিটোরিয়ামে খাগড়াছড়ির গন্যমান্য সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ।